সেরা আর্টিকেল লেখার নিয়ম – লেখার সময় কোন কোন বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হয়!

তথ্যপ্রযুক্তি

‘ডোমেইন’ ও ‘হোস্টিং’ কেনা তো হলো। এবার আপনার ওয়েব সাইডটি তো চালু করার পর আর্টিকেল লিখতে হবে। ‘আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম’ জানা না থাকলে সেটা রিডার বা ভিজিটর আকৃষ্ট হবে না। ফলে আপনার ওয়েব সাইডটি Google এ rank করবেনা। তবে ভয়ের কিছু নেই।  আর্টিকেল রাইটার (Article Writer) হওয়া খুব একটি কঠিন কাজ নয়। আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশি খেয়াল করতে হবে রিডার বা ভিজিটর যেন আকৃষ্ট হয়। এক্ষেত্রে  আর্টিকেল রাইটার বা যে কোন বিষয়ে রি-রাইটার হতে গেলেই আপনাকে প্রতিদিন প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে। প্রতিদিনই নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। এজন্য বলা হয় যত বেশি লার্নিং তত বেশি আর্নিং। আজ আমি আপনাদের আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হয় সেগুলি সম্পর্কে আলোচনা করব।

 

এক নজরে আলোচনার বিষয় গুলি-

  • একটি নোট তৈরি করুন কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন।
  • আপনার আর্টিকেল এর শিরোনামের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • আর্টিকেল এ বিশেষ সাইন, যেমন বুলেট চিহ্ন, নম্বর এবং টেবিল ব্যবহার করুন।
  • আর্টিকেল এ রিডার বা ভিজিটর যাতে এক পলকে বিষয়বস্তু খুজে পায় এমন ইমেজ বা ছবি ব্যবহার করতে হবে।
  • লেখা পোস্ট করার আগে রিভিশন করে পোস্ট করুন।

 

একটি নোট তৈরি করুন কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন

আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে শিরোনাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রথমেই আর্টিকেলের শিরোনাম ঠিক করতে হবে। এজন্য আপনি ইন্টারনেট হতে কি জানতে চান সেই চিন্তাটি করুন। খুজে বের করুন যা আপনি চাচ্ছেন তার কোন বিষয়টি ইন্টারনেটে নেই বা আপনি ভাল জানেন তা ওয়েবে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিরোনাম মাথায় রেখে আপনি ইন্টারনেট সার্চ করে হিট পয়েন্ট বা সংখ্যা তত্ত্ব বা দিন তারিখ সাল ইত্যাদি নোটডাউন করবেন। বাংলা বা ইংরেজী বা অন্য ভাষায় সার্চ করে দেখবেন। কোন ভাষায় আপনার তথ্যটি আপনি পাচ্ছেন।

তথ্য সার্চ করে খোজার সময় আপনি একাধিক আর্টিকেল হেডিং পেয়ে যেতে পারেন। তাই সেগুলোও আপনি Google Keep বা নোট অ্যাপে নোট করে রাখতে পারেন। উক্ত বিষয়ে পরে লিখবেন। একটি লেখা লিখতে গিয়ে যেন অন্য লেখা হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

আপনার আর্টিকেল এর শিরোনামের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

শিরোনামে ব্যবহৃত শব্দগুলোর কি-ওয়ার্ড আপনার প্যারাগ্রাফগুলোতে ব্যবহার করুন। লেখার ধারাবাহিকতা রাখতে হবে কারন রিডার বা ভিজিটর যাতে আকৃষ্ট থাকে সেজন্য। এক্ষেত্রে ব্লগের একই ধরনের লেখার শিরোনাম এবং লিংক দিয়ে লেখায় লিংক বিল্ডিং করুন। সিম্পল ও সহজ প্রাঞ্জল ভাষায় লিখুন। লেখার বাক্য গুলি ছোট ছোট করে লিখুন, কমপ্লেক্স বাক্য ব্যবহার কম করুন। পাঠক যাতে লেখা ফেলে রেখে চলে না যায়। পাঠককে ধরে রাখতে লেখনীর মাঝে নতুন কিছু তথ্য দিন যা পাঠক অন্য কোন ব্লগে পড়েনি।

আর্টিকেল এ বিশেষ সাইন, যেমন বুলেট চিহ্ন, নম্বর এবং টেবিল ব্যবহার করুন।

যে কোন বিষয়ে লিখতে হলে আপনাকে বুলেট চিহ্ন বা স্টার চিহ্ন বা ক্রমিক নং বা নম্বর ব্যবহার করে তথ্য চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে। গুগলের নিকট টেবিল ও তথ্য সারসংক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কোন বিষয় সম্পর্কে একটি সামারি বা এক জায়গায় সমস্ত তথ্য দেখতে বা সারমর্ম জানতে বুলেট তথ্য এবং টেবিল খুবই জনপ্রিয়। এগুলো মূলত কোন আর্টিকেল বা কনটেন্ট এর মাঝামাঝিতে ব্যবহার করতে হয়। এমন তথ্য থাকতে হবে যা পড়েই ভিজিটর আকৃষ্ট হয় এবং লিংক শেয়ার করে।

 

আর্টিকেল এ রিডার বা ভিজিটর যাতে এক পলকে বিষয়বস্তু খুজে পায় এমন ইমেজ বা ছবি ব্যবহার করতে হবে।

আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে গুগল বা ভিজিটর প্রমান স্বরুপ কোন ছবি বা ইমেজ দেখতে পায় এবং ভিডিও পাইলে তো কথাই নেই। যে কোন বিষয় লেখা পড়ে বোঝার থেকে ছবি দেখে বোঝা খুবই সহজ। ইমেজে যদি টেক্স ব্যবহার করেন বা টিউটোরিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হয় তবে তো কথাই নেই কারণ গুগল বা ভিজিটর এটি খুবই পছন্দ করে থাকে।

লেখার লেনথ এর ব্যাপারে কোন সীমা না থাকলেও ৮০০-২০০০ ওয়ার্ড পর্যন্ত হলে ভাল হয়। খুব বেশি দীর্ঘ লেখা পাঠক পড়তে বিরক্ত বোধ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে আরও একটি আর্টিকেল লিখুন। আর্টিকেল টাইমার বা পড়ার সময় কোন ভাবে ৮-১৫ মিনিট ক্রস করা যাবে না। তবে স্ট্যান্ডার্ড টাইম হচ্ছে ৭-১০ মিনিট ধরে লেখা পড়া যায় এমন লেখা। তাই পাঠকের ধৈর্য্যের পরীক্ষা না নিয়ে পোস্ট যথা সম্ভব ৮০০ হতে সর্বোচ্চ ২০০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে রাখুন।

আর্টিকেল পোস্ট করার আগে রিভিশন করে পোস্ট করুন।

আপনি এত কষ্ট করে যে লেখাটি লিখেছেন তা অবশ্যই পোস্ট করার আগে একবার ভাল করে পড়ে দেখবেন। এই সময় আপনার লেখায় বানান ভুল থাকলে তা সংশোধন করার সুযোগ পাবেন। যদি ভাবের কোন অসংগতি থাকে তাও এডিট করুন। লেখার ভাব প্রকাশে যদি কোন বাক্য যুক্ত করতে হয় করুন অন্যথায় অপ্রয়োজনীয় বাক্য কেটে দিন। লেখা জাস্টিফাই করে দিন। যদিও এটা পরেও এডিট করা যায়। প্রতিটি প্যারা দৃশ্যমান কিনা তা খেয়াল করুন। আপনি যদি এই পোস্টের পাঠক হতেন তাহলে লেখায় কি কি বিষয় চাইতেন বা যা শিরোনাম দেখে চাচ্ছেন তা পাচ্ছেন কিনা ভাল করে চেক করুন। অতপর পোস্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *