ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন!

আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য

মশাবাহিত প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন (টিকা) আবিষ্কারে প্রথমবারের মতো সফলতার দেখলেন বিজ্ঞানীরা। কয়েক দশকের টানা গবেষণা আর প্রাণান্তকর চেষ্টার পর অবশেষে সফলতার মুখ দেখলেন বিজ্ঞানীরা। গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা দিয়েছে যে, যুক্তরাজ্যের ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বিশ্বে প্রথমবারের মতো এই রোগের টিকা আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে WHO recommends groundbreaking malaria vaccine for children at risk শিরোনামে ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমোদন দেয়ার তথ্য জানিয়েছে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন।’ টেড্রস জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ম্যালেরিয়া গবেষক হিসেবে আমার কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। আমি এই পুরনো ও ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা আবিষ্কারের অপেক্ষায় ছিলাম। আজ সেই দিন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৬ অক্টোবর প্রথমবারের মতো বিশ্বজুড়ে ম্যালেরিয়ার টিকা ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।

 

ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আফ্রিকার শিশু। আফ্রিকার তিনটি দেশে ম্যালেরিয়ার আরটিএস/এস টিকা সফল পাইলট প্রকল্পের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন।’

 

ম্যালেরিয়ার এ টিকা দীর্ঘ সময় ধরে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে গেছে। চার বছরের বেশি সময় ধরে আফ্রিকার ছোট বাচ্চাদের ওপর চলা পরীক্ষায় এর সীমিত কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। সাধারণ ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে এটা ৩৯ ভাগ কার্যকর আর গুরুতর ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতার হার মাত্র ২৯ ভাগ। কিন্তু গত আগস্টে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এলএসএইটটিএম) নেতৃত্বে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যখন ছোট শিশুদের আরটিএস/এস ও অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ওষুধ দেয়া হয় তখন এটি হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর হার ৭০ ভাগ কমিয়ে দিতে সক্ষম। আরটিএস/এস টিকাটি মস্কিরিক্স নামে পরিচিত যা ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) আবিষ্কার করেছে। ২০১৯ সাল থেকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ঘানা, কেনিয়া ও মালাউইয়ের আট লাখের বেশি শিশুর ওপর এর প্রয়োগ করা হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *