বন্ধুর স্ত্রীর সাথে ইলন মাস্কের প্রেমের সম্পর্ক: সংসার ভাঙ্গছে বন্ধুর!

তথ্যপ্রযুক্তি দিনকাল বিনোদন

ইলন মাস্ককে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। যার সম্পদের পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা ও রকেট ফার্ম স্পেস এক্সের প্রধান।

বরাবরই ইলন মাস্ক আলচনায় থাকেন। এবার বন্ধুর স্ত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আলচনায় এলেন। ইলন মাস্কের সাথে গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনের স্ত্রী নিকোল শানাহানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, কথিত ওই প্রেমের সম্পর্কের কারণে ব্রিনের সাথে ইলন মাস্কের বন্ধুত্ব ভেঙে যায়। অবশ্য টুইটারে পোস্ট করা ওই রিপোর্টটির একটি লিংকের জবাব দিয়ে মাস্ক লেখেন, এ খবর পুরোপুরিই আজগুবি। তিনি বলেন, ব্রিনের সাথে তার এখনো বন্ধুত্ব রয়েছে। গত রাতেও একটি পার্টিতে তারা দু’জনে যোগ দিয়েছিলেন।

মাস্ক তার টুইটে লেখেন, ‘নিকোলের সাথে আমার গত তিন বছরে মাত্র দু’বার দেখা হয়েছে। দু’বারই আশপাশে অনেক লোকজন ছিল। এতে রোমান্টিক কিছুই ছিল না।’ ডিসেম্বর মাসে কথিত ওই প্রেমের সময়টায় ব্রিন ও তার স্ত্রীর সেপারেশন হয়ে গেলেও তারা একসাথেই থাকতেন- শানাহানের ঘনিষ্ঠ একজনকে উদ্ধৃত করে লিখেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়- গত বছরের শেষ দিকে মাস্ক অল্প কিছুকালের জন্য শানাহানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এর পরে ব্রিন এ বছরের শুরুর দিকে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। পরিণামে এই দুই টেক ধনকুবেরের বন্ধুত্ব ভেঙে যায়।

আরও পড়ুন- ৬ জিবি র‍্যামের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ‘হেলিও৩০’( Helio 30 )!

শানাহান ও ব্রিন এখন তাদের বিবাহবিচ্ছেদের আপোষরফায় কি থাকবে- তা নিয়ে দরকষাকষি করছেন, যার পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে। শানাহান নিজে একজন ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক আইনজীবী ও আইনবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি ক্লিয়ার এ্যাকসেস আইপি ও বায়া-ইকো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা।

এ মাসের শুরুর দিকে ইলন মাস্ক কিছু টুইট বার্তায় দৃশ্যত নিশ্চিত করেন যে, ২০২১ সালের শেষ দিকে তারই প্রযুক্তি কোম্পানি নিউরালিংকের একজন নির্বাজী শিভন জিলিসের গর্ভে তার দু’যমজ সন্তান হয়েছে। এর কয়েক সপ্তাহ আগে তার কন্যা ভিভিয়ান তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেন।

সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *