দক্ষিণের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতু আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। উদ্বোধন উপলক্ষে সেতু পরিদর্শন করেছেন বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর উদ্বোধন করবেন।
এই সেতু চালু হলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে সড়ক পথে আর কোন ফেরির ঝামেলা রইলনা। আগে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে লাগত ৬-৮ ঘণ্টা আর সেতু চালু হলে সেখানে সময় লাগবে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা।
এ সেতু অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই চালু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা গতকাল বিকালে ওই সেতুর নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মানে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এই প্রথম দেশে পায়রা সেতুতে ২০০ মিটার দীর্ঘ দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে এবং নদীর তলদেশে বসানো হয়েছে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পাইল। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে সেতুটির দূরত্ব ১৯২ কিলোমিটার এবং বরিশাল নগরী থেকে ২৭ কিলোমিটার। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (কেএফএইডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওএফআইডি) যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড।
স্কুল শিক্ষক অনিক মজুমদার বলেন, সেতু এখনো চালু হয়নি, তবে সেতুতে ওঠার থেকে দূর থেকেই ভালো লাগছে। বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে শেষ সেতু এটি। তবে সাধারণ মানুষের জন্য এ সেতু আশীর্বাদ। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা বরিশাল কুয়াকাটা সড়কের পায়রা নদীর ওপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ সেতুতে আলোকসজ্জা দেখার পর তিনি এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩০ জুন করা হয়েছিল। কিন্তু মেয়াদের আগেই এবার কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড।