অসুস্থতা যতক্ষণ না গুরুতর হয়, ততক্ষণ আমরা সেটাকে নিয়ে বিশেষ ভাবি না। শরীর খারাপ হলে আমরা প্রায়ই এড়িয়ে যাই। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেয়ে নিজেদের সরিয়ে তোলার চেষ্টা করে থাকি। ফুসফুসের রোগের ক্ষেত্রেও এই ঘটনা খুব আলাদা নয়।
ফুসফুস আমাদের শরীর এর একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। এটা ছাড়া আমরা কয়েক মিনিট বাঁচতে পারি। তাই ফুসফুসকে সব সময় সুরক্ষিত রাখতে হবে। ফুসফুসের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আমাদের ফুসফুসের রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে।
আসুন ফুসফুসের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষন গুলি জেনে নেওয়া যাক-
শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তন-
যদি আপনি শ্বাসকষ্টের শিকার হন বা কোনওভাবে আপনার স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিতে অসুবিধার মাঝে পড়েন, তবে এটি ফুসফুসের রোগের লক্ষণ হতে পারে। যেমন, ফুসফুসে একটি টিউমার হলে সেই কার্সিনোমা থেকে নিঃসৃত তরল পদার্থ জমে যায়। যা বায়ু চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং যার ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।
দীর্ঘস্থায়ী শ্লেষ্মা-
সংক্রমণ বা প্রদাহের বিরুদ্ধে শ্লেষ্মা আমাদের সুরক্ষা প্রদান করে। যাকে থুতু বা কফও বলা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত শ্লেষ্মা ভাল নয়। অতিরিক্ত শ্লেষ্মা শারীরিক অসুস্থতার কারণেও তৈরি হতে পারে। যদি এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা থাকে এটি ফুসফুসের রোগের কারণেও হয়ে থাকতে পারে।
রক্তের সঙ্গে ক্রমাগত কাশি-
আট সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে যদি আপনার কাশি স্থায়ী থাকে। আর কাশির সঙ্গে যদি রক্ত পড়তে থাকে, তাহলে খুব দ্রুত আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার। এই ধরনের রোগ সাধারণত ফুসফুসের চরম অসুস্থতার কারণেই হয়ে থাকে। যা আপনার জীবননাশের কারন হতে পারে।
বুকে ব্যথা-
যদি বুকে ব্যথা থাকে আর তা যদি এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে থাকে এবং কারনটা আপনার অজানা। তাহলে আপনার সতর্ক হওয়া উচিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে কোনওরকম ব্যথা অনুভব করেন, সেক্ষেত্রে সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে হবে।
এছাড়া ফুসফুসে যেকোন ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা আপনার এবং পরিবারের জন্য ভাল।