৫মিশালি বিডি ওয়েব ডেস্কঃ আমাদের এই যুগে যত দিন যাচ্ছে মানুষের কাজের ব্যস্ততা তত বাড়ছে। কাজেই দিনে দিনে আমাদের ঘুমানোর সময় কমে যাচ্ছে। অনেকেই কাজের চাপে রাতের ঘুম বিসর্জন দেন। সুস্থ থাকার জন্য দিনে অন্তত আট ঘণ্টার ঘুমের কথা বলা হয়। তবে, বেশ কিছু মানুষ আট ঘণ্টা ঘুমনোর সুযোগ পান না। কিন্তু গবেষণা বলছে, দিনে যাঁরা ৮ ঘণ্টা ঘুমোন না, তাঁদের স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরের বিপাক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
প্রতিদিন আট ঘণ্টার কম ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। খাদ্য সঠিকভাবে হজম করার ক্ষমতা কমে যায় এর ফলে, শরীরের রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও কমে যায়। অনেকের স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পায় এর ফলে।
ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রফেসর সিওভান ব্যাঙ্কস বলেছেন যে, গত পনের বছর ধরে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে দীর্ঘমেয়াদী সময় ধরে কম ঘুমানো স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং এমনকি ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
প্রফেসর সিওভান ব্যাঙ্কস তাঁর গবেষণায় তুলে ধরেছেন যে, একটানা যাঁরা ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর সুযোগ পান না তাঁরা দিনের অন্য কোনও সময় ঘুমিয়ে তা পূরণ করে নিতে পারেন। এমনকি, অফিসের কাজের ফাঁকে খুব ক্লান্ত লাগলে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপও নিয়ে নিতে পারেন।
তবে, মনে রাখতে হবে রাতের একটানা ঘুমাতে পারলে সবথেকে ভাল। কারণ এই সময় আমাদের মস্তিষ্ক গঠন পায়। আবার রাতের ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করা সম্ভব- আরইএম (REM) এবং নন আরইএম (Non-REM Sleep)। আরইএম স্লিপ ৫ থেকে ১৫ মিনিট চলে। প্রথমে আমাদের চোখ বন্ধ হয়। তারপর আলকা নিদ্রাভাব আসে ও তারপর আমরা পৌঁছে যাই গাঢ় ঘুমে।
ঘুমের আধ ঘণ্টা থেকে ৯০ মিনিট পর আমরা নন আরইএম স্লিপের পর্যায়ে প্রবেশ করি। সাধারণত এই সময়তেই আমরা স্বপ্ন দেখি কারণ এই সময় আমাদের মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় থাকে। এই সময় মস্তিষ্কের সেই সমস্ত অংশ উদ্দীপিত হয় যা আমাদের নতুন কিছু শিখতে ও প্রোটিন উৎপাদন করতে কাজ করে।