গরমে তরমুজ কেন খাবেন
সুস্থ থাকতে এই গরমে দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি খেতে বলা হলেও অনেকেই তা পূরণ করতে পারেন না। তাই পানির বিকল্প হতে পারে তরমুজ। এটি একাধারে সুস্বাদু, অন্যদিকে শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করে এবং প্রতি কাপ তরমুজে এনার্জি থাকে মাত্র ৪৬ কিলো ক্যালোরি! এছাড়া তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপাদান। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান। ফলে তরমুজ খেলে দেহে পানির অভাব হয় না।
আবার এসেছে গরম। প্রতিবারের মতো দিন দিন তা বাড়তেই থাকবে। কারন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গরমে তাপ বাড়ছে বছর বছর। সুস্থ থাকতে এই গরমে দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি খেতে বলা হলেও অনেকেই তা পূরণ করতে পারেন না। তাই পানির বিকল্প হতে পারে তরমুজ। এটি একাধারে সুস্বাদু, অন্যদিকে শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করে এবং প্রতি কাপ তরমুজে এনার্জি থাকে মাত্র ৪৬ কিলো ক্যালোরি! এছাড়া তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপাদান। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান। ফলে তরমুজ খেলে দেহে পানির অভাব হয় না।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি-জ্বরে কাবু হন অনেকে। ডায়েটে তরমুজ তাদের বাড়তি শক্তি জোগাবে। কারণ তরমুজের মূল উপাদান ভিটামিন সি। ১০০ গ্রাম তরমুজে ৮.১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। তা ছাড়া তরমুজে প্রায় ৯৪ শতাংশ জল থাকে শরীরের জলের ঘাটতিও দূর করবে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ । রয়েছে লাইকোপিন নামে এক ধরনের লাল উপাদান। ত্বকের ঔজ্জল্য ধরে রাখত যেমন ভিটামিন এ-র ভূমিকা অনন্য, তেমনই লাইকোপিন হাড়ের ক্ষমতা ধরে রাখবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টারের অধিকর্তা ভিনু পটেল ও তার সহযোগীরা মিলে দীর্ঘ দিন গবেষণা চালিয়েছেন তরমুজ নিয়ে।
সেই গবেষণায় জানা গেছে, তরমুজ সিট্রুলিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিডের স্বাভাবিক উৎস। এই সিট্রুলিনের মধ্যে রয়েছে বিশেষ ক্ষমতা, যা রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তনালীর কর্মক্ষমতাও বাড়ায়। কাজেই ডায়েটে রোজ তরমুজ রাখা মানে যৌনক্ষমতার গ্রাফ থাকবে ঊর্ধ্বমুখী।
এবার আসুন জানি শরীরের কোন কোন উপকারে লাগে তরমুজ –
-
তরমুজ শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শরীরে ক্ষত নিরাময়ের জন্য প্রোটিনযুক্ত কোষ কোলাজেনের পরিমাণও বাড়িয়ে তোলে। তরমুজে থাকা বিটা-ক্যরোটিন ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এবং অকালে চুলের ঝরে পড়া রুখতে সাহায্য করে।
-
তরমুজ শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে
অনেকে মনে করেন তরমুজে শর্করার পরিমাণ বেশি। তাই ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে তা বিশেষ ফলদায়ক না-ও হতে পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, ১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৩০ এবং শর্করার মাত্রা ৬.২ গ্রাম। যাতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই বললেই চলে। এ ছাড়াও তরমুজে ফাইবার এবং জলের পরিমাণ বেশি হওয়ায়, বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনতে পারে।
-
তরমুজ চোখের জন্য ভাল
তরমুজে থাকা লাইকোপিন নামক যৌগটি, চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। বয়সজনিত ‘ম্যাকুলার ডিজনারেশন’-এর কারণে চোখে যে ধরনের সমস্যা হয়, তা প্রতিরোধ করতে পারে এই লাইকোপিন।
- দাঁত এবং মাড়ির যত্নে তরমুজ
তরমুজে থাকা ভিটামিন সি, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখে। মাড়ির টিস্যুতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ রোধ করতে পারে এই ফল। সেই কারণেই মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা মাড়ি আলগা হয়ে কম বয়সে দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও আটকে দিতে পারে সহজেই।
-
তরমুজ শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে
তরমুজের মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। পানি কম খেয়ে যদি পেশিতে টান ধরে বা শরীর ভিতর থেকে শুকিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়া যেতেই পারে।