কীভাবে নিখোঁজ হলেন দুই গৃহবধূ?
গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে পোশাক কিনতে যাওয়ার নাম করে পালান বালি থানা এলাকার নিশ্চিন্দার সাঁপুইপাড়ার বাসিন্দা দুই বধূ। ৭ বছরের ছেলে আয়ুষকে সঙ্গে করে নিয়ে যান বড় বউ অনন্যা। কিন্তু রাত গড়ালেও ফেরেননি তারা। এরপর শুরু হয় খোঁজ। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তিনজনের হদিশ পাওয়া যায়নি। এরপর বালি থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার।
কীভাবে এগোল তদন্ত?
তদন্তে নেমে পুলিশ দুই বধূর মোবাইল ফোনের নম্বর ট্র্যাক করা শুরু করে। তাতে দেখা যায়, ১৫ ডিসেম্বর বিকালে শ্রীরামপুরেই ছিলেন তারা। তারপর মোবাইল সুইচড অফ হয়ে যায়। এর মধ্যে মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার থেকে দুইজনের মোবাইলের কললিস্ট জোগাড় করে পুলিশ। তাতে একটি সন্দেহজনক নম্বর পাওয়া যায়। মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সেটি সুভাষ নামে এক ব্যক্তির নম্বর। বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকায়।
পরিবারের তরফে জানানো হয়, কয়েক মাস আগে বাড়িতে কাজ করেছিলেন সুভাষ ও শেখর নামে দুই রাজমিস্ত্রি। এরপরই মুর্শিদাবাদে সুভাষের বাড়িতে হানা দেন বালি থানার কর্মকর্তারা। সুভাষের পরিবারের তরফে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর সেখানেই ছিলেন তারা। পরদিন মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বালি এলাকার একই পরিবারের দুই বধূর নিখোঁজ রহস্য বের করল পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বালি এলাকার একই পরিবারের দুই বধূর নিখোঁজ রহস্য বের করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়েছেন অনন্যা কর্মকার ও রিয়া কর্মকার নামের দুই গৃহ্ধূ। সঙ্গে নিয়ে গেছেন অনন্যার ৭ বছরের ছেলে আয়ুষকেও। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পরিবারের সদস্যরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
আপাতত দুই বধূকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তারা কোনো পাচারচক্রে পড়েছেন কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে। শিশুটি কোথায় রয়েছে তার খোঁজও করছেন গোয়েন্দারা।