৫মিশালি বিডি ওয়েব ডেস্কঃ ৩০ বছর পার হলেই নাকি ত্বকে দেখা দিতে শুরু করে বলিরেখা। নানা ধরনের দাগ ছোপ দেখা দিতে শুরু করে তখন। কিন্তু এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তারা বলছেন, বলিরেখা হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। তবে সেজন্য আপনাকে সচেতন হতে হবে।
ঘরোয়া কিছু নিয়ম মানলে বলিরেখা রোধ করা যায়। আপনি সহজেই বাড়িতে তৈরি করতে পারবেন অ্যান্টি এজিং ফেস মাস্কগুলি। সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায় হল এই অ্যান্টি এজিং ফেস মাস্ক। যদি নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে কিছু দিনের মধ্যেই আপনি পার্থক্য দেখতে পাবেন নিজের চোখে।
নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল
নারকেল তেল এবং অলিভ অয়েল সমান পরিমাণে নিন। এক সঙ্গে মেশান এবং এই তেলের মিশ্রণটি আপনার ত্বকে ম্যাসাজ করতে ব্যবহার করুন। আলতো করে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি এটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
ডিম ও দই এর ফেস প্যাক
একটি ডিম ভেঙে হলুদ অংশটা আলাদা করে একটি পাত্রে রাখুন। এবার সাদা অংশটা ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এতে এক টেবিল চামচ তাজা দই যোগ করুন। উপাদানগুলি এক সঙ্গে মিশ্রিত করুন। এই মিশ্রণের একটি সমান স্তর সারা মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। ১৫-২০ মিনিটের জন্য এটি ছেড়ে দিন। শুকনো হয়ে গেলে এটি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার বা দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাবও দূর হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা ও গ্রিন টি এর ফেস মাস্ক
গ্রিন টি তৈরি করুন। একটু ঠান্ডা হতে দিন। দুই টেবিল চামচ গ্রিন টি নিন এবং এতে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল দিন। এই মিশ্রণটি মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। আঙুল দিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট এটি ত্বকে রেখে দিন। এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। এক মাসের মধ্যে পার্থক্য উপলব্ধি করতে পারবেন।
কলার ফেস প্যাক
একটি পাকা কলা নিন। এর খোসা ছাড়িয়ে নিন। ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। কাঁটা চামচের সাহায্যে কলার টুকরোগুলো ম্যাশ করুন বা হাতের সাহায্যেও করতে পারেন। ম্যাশ করা কলা দিয়ে মুখ এবং ঘাড়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন এবং তারপর ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ত্বকে যদি ব্রণর সমস্যা থাকে, সেই সমস্যাও দূর করে দেবে এই ফেস প্যাক।