৫মিশালি বিডি ওয়েব ডেস্কঃ এবার থেকে ভারতীয়দের বাংলাদেশে ভ্রমণে আসতে হলে বাংলাদেশকে দিতে হবে ভিসা ফি। কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, ভিসা ফি কত হবে, তা এখনো নির্ধারণ না হলেও ৮৫০ রুপির সঙ্গে ট্যাক্সসহ মোট হাজার রুপির মধ্যেই থাকবে।
ভারতে আসতে হলে প্রত্যেক বাংলাদেশিকে ভিসা ফি বাবদ স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় জমা দিতে হয় ১২শ’ টাকা। পাশাপাশি ২শ’ ডলার এন্ড্রোস করাতে হয়। তবে ভারতবাসীর জন্য ডলার এন্ড্রোস পদ্ধতি চালু না হলেও এবার থেকে বাংলাদেশে যেতে হলেই দিতে হবে ভিসা ফি।
চলতি মাস থেকেই এই নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি কলকাতার পার্কসার্কাস লাগোয়া ৯ নম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরণিতে অবস্থিত কলকাতার বাংলাদেশ মিশন এতদিন যে ভিসা দিত, তাও তাদের হাতে থাকছে না। ভিসা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ কাজ ভারতের একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে দেওয়া হচ্ছে। সেটার অফিস হতে চলেছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে। তবে ভিসা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ কাজ কলকাতার বাংলাদেশ মিশনই তদারকি করবে।
উপ-হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, আরও উন্নত পরিষেবা দিতে এমন একটি পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। প্রথম শুরু করছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন। আগামীতে নয়াদিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, আগরতলা এবং গুয়াহাটিতে একই পদ্ধতি চালু করা হবে। মূলত, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় এবং সিকিম—এই ছয়টি রাজ্য কলকাতার বাংলাদেশ মিশনের ভিসা জোনের আওতাভুক্ত। বছরে এই মিশন থেকেই কমবেশি দেড় লাখ ভারতীয়কে বাংলাদেশের ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে।
চলতি বছরের ৭ অক্টোবর কলকাতা মিশন, একটি বেসরকারি সংস্থা ডিউ ডিজিটাল বিডি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তিও সম্পাদন করেছে। যা বহাল থাকবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য। ওই চুক্তিতে কলকাতার বাংলাদেশ মিশনের হয়ে স্বাক্ষর করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান এবং সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন মিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মোহাম্মাদ সাইনুল কাদের। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থাটির হয়ে স্বাক্ষর করেন ওই সংস্থার ডিরেক্টর শিভাস রাই এবং সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, কলকাতার ডিরেক্টর পীযূষ গুপ্তা।
সল্টলেক স্কেটর ফাইভে সোমবার থেকে শুক্রবার সপ্তাহে ৫দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ‘ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টার’ খোলা থাকবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক এই ভিসা সেন্টারে থাকছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অটো কিউইং মেশিন, সুবিশাল প্রতীক্ষালয়, ভিআইপি লাউঞ্জ, স্ন্যাকস কর্নার, টেলিভিশন স্ক্রিন, বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে ভারতীয়দের অবগত করার জন্য থাকবে ডিসপ্লে বোর্ড, সিসিটিভি নজরদারি, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ আরও অনেককিছু।