৫মিশালি বিডি ওয়েব ডেস্কঃ গত রবিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার নন্দলাল মুখার্জি লেনের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নিহত দম্পতির নবম শ্রেণি পড়ুয়া বড় মেয়ে জানান, ‘বাবার সঙ্গে মায়ের প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। মা ফেসবুক চালাতো বলে সন্দেহ করতো বাবা। এ নিয়ে বেশ ঝামেলা হতো।’
গৌতমের আত্মীয় শম্ভু মিদ্দা বলেন, ‘মৌসুমি স্বাধীনচেতা ছিল। সে একবার স্কুটি চালিয়ে গ্যাংটক যেতে চেয়েছিল। এ নিয়ে গৌতমের সঙ্গে ঝামেলাও হয়। ফেসবুক ব্যবহার করা নিয়েও দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। তার যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে তা ভাবা যায়নি।’
প্রথমে স্ত্রী মৌসুমিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন গৌতম মাইতি। তারপর তিনি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ধারণা, পারিবারিক অশান্তি থেকেই এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা। প্রতিবেশীদের সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, বছর তিনেক আগে নন্দলাল মুখার্জি লেনের ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন গৌতম। দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন সেখানে।
গৌতম-মৌসুমি দম্পতির দুই মেয়ে আপাতত তাদের খালার বাড়িতে রয়েছে। বড় মেয়ে বলে, ‘বাবা অনেক রাত করে বাড়ি ফিরত। সেভাবে সময় দিতো না সংসারে। মা স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিল। কিন্তু বাবা চাইত, মা সব সময় ঘরে থাকুক। মাকে বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেছিল। মা দামি প্রসাধনী ব্যবহার করত। এ নিয়েও অশান্তি হতো। আমাদের সামনেই মাকে মারত বাবা। দু’জনের মধ্যে এসব ঝামেলা আমরা দুই বোন কখনই চায়নি, অনেকবার মানাও করেছি। কিন্তু আমাদের দুই বোনের কথা বাবা-মা কেউই ভাবলো না!
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও জি নিউজ।