৫মিশালি বিডি ওয়েব ডেস্কঃ এ বছর আসন্ন পবিত্র হজে যাওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। এরই মধ্যে চীনে নতুন করে করোনার বিস্তার আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে। তবে ভেতরে ভেতরে সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সৌদি আরব সফর এবং সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশীদের এ বছর হজে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছে সৌদি সরকার। তবে আনুষ্ঠানিক ফরমান জারি না হলে কোনো কিছুই বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ থেকে ১২ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যার বাকি আছে আর মাত্র সাড়ে তিন মাস। কিন্তু এখনো হজের আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি সৌদি সরকার। বিগত সময়ে আট মাস আগে হজ চুক্তি হলেও এ বছর তা-ও হয়নি। ফলে সারা বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে এখনো আশঙ্কা রয়েছে গত দু’বছরের মতো এবারো হজ থেকে বঞ্চিত হয় কিনা। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন সৌদি সরকারের ঘোষণার দিকে।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে না। বিদেশী যাত্রীদের দেশটিতে প্রবেশের পর করোনার পিসিআর পরীার নিয়মও প্রত্যাহার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশী-বিদেশী নাগরিকদের পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ দিয়েছে সৌদি আরব। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ যাত্রীরা প্রতিনিয়তই মক্কা-মদিনায় যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান গতকাল বলেন, আমরা আশা করছি ইনশাআল্লাহ এ বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও মুসল্লিরা হজে যেতে পারবেন। তবে সৌদি সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বতর্মানে চীনে আবার করোনার নতুন ভেরিয়েন্টের বিস্তার ঘটেছে, যা আরো চার-পাঁচটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। তারপরও আমরা আশাবাদী। হজচুক্তি হলে তখন কত সংখ্যক যেতে পারবেন তা নির্ধারিত হবে বলেও তিনি জানান।
বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম গতকাল বলেন, এবার বাংলাদেশীদের হজে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা সৌদি সরকার দেয়নি। এজন্য এখনই কোনো কিছু চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে এজেন্সিগুলো প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। ঘোষণা দিলেই যাতে কার্যক্রম শুরু যায়।